পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সাকিবের পারফরম্যান্স দেখে মনে হতেই পারে, এ আর এমন কী! প্রতিপক্ষ তো একটা সহযোগী ‘শিক্ষানবিশ’ দেশ। বটে! এমনই আরেক সহযোগী দেশে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর যখন দম আটকে এসেছিল, তখন তো ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিও দুঃস্বপ্নে হানা দিয়েছে। সেই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম রাউন্ড-গলির ‘রাস্তা’ থেকে টি-বিশ্বকাপের ‘মহাসড়কে’ তোলার কারিগর আর কে!
সাকিবকে চাইলে এমন আরও অনেক স্তুতিগাথায় ভাসিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সাকিব নিজে কখনো এসবে ভেসে যান কি! সেই যে আইপিএলে ৩ অক্টোবর থেকে টানা ম্যাচ খেলার মধ্যে আছেন, এর মধ্যে কত উত্থান-পতন ঘটল, কোথাকার জল গিয়ে কোথায় গড়াল—কলকাতা নাইট রাইডার্সে সাকিবের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠল, এলিমিনেটর জিতিয়ে সাকিব সে প্রশ্ন মাটিচাপাও দিলেন, কলকাতা ফাইনাল হারল, বাংলাদেশও হারল টানা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ, এরপর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেও হারল বাংলাদেশ। এই টানা ম্যাচ আর অমিত চাপের মধ্যে সাকিবকে কখনো টলতে দেখেছেন?
ভালো খেলোয়াড়দের টাইমিংটা হয় নিখুঁত। না, ব্যাটিংয়ের টাইমিং না। দলের জন্য নিজের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার সময়জ্ঞান। স্কটল্যান্ডের কাছে হারে বাংলাদেশ যখন প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়ার সমীকরণের চাপে দুঃস্বপ্ন দেখছে, সাকিব তখন সব্যসাচী হাতে কষলেন সরল অঙ্ক—ওমানের বিপক্ষে ২৯ বলে ৪২ ও ২৮ রানে ৩ উইকেট। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৩৭ বলে ৪৬ ও ৯ রানে ৪ উইকেট। তাতে বাংলাদেশের যেমন সুপার টুয়েলভে ওঠার উত্তর মিলেছে, তেমনি সাকিবও ম্যাচসেরা—আইসিসি টুর্নামেন্টে এ যেন রাজযোটক।
বুঝিয়ে বলছি, ২০১৬ সাল থেকে আইসিসির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বশেষ ৬ জয়ের সবগুলোতেই ম্যাচেসেরা খেলোয়াড় সাকিব। আইসিসির ভিডিও সাক্ষাৎকারে সৌম্য-তাসকিনদের কথাটা তাই মোটেও বাড়াবাড়ি না। বরং টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বিচারে গত দুই ম্যাচ ধরলে একটু কমই বলা হয়েছে। কীভাবে?
0 মন্তব্যসমূহ